শিখার বেশ কয়েকজন প্রিয় বান্ধবীদের মধ্যে মুর্শিদা অন্যতম।দুজনের গলায় গলায় ভাব।মহিলা কলেজের হোষ্টেলে তারা এক রুমে থাকে।শিখার পার্সোনাল ফোন নেই। মুর্শিদার আছে।মহিলা হোষ্টেলগুলোতে রুমের যেকোন একজনের কাছে ফোন থাকলেই হয়। বাকিরা সবাই একই ফোনে তাদের প্রয়োজন মিটিয়ে নেয়। কেউ কেউ প্রেম করে,আবার কেউ কেউ বাড়িতে যোগাযোগের জন্য ফোন ইউজ করে। মুর্শিদার সাথে আমার পরিচয়টা অনেকদিনের পুরনো। সে আমার বন্ধু রনির গার্লফ্রেন্ড।রনি ও মুর্শিদার সূত্র ধরেই শিখার সাথে আমার পরিচয়। ডেটিংয়ে গেলে রনি আমাকে নিয়ে যায়,মুর্শিদা শিখাকে।
শিখা খুব লাজুক স্বভাবের মেয়ে। প্রেম বিষয়ক কথা তুললেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যায়। আমি মুর্শিদাকে বেশ কয়েকবার রিকুয়েস্ট করেছিলাম,আমার আর শিখার মধ্যে সম্পর্কটা করে দিতে।মুর্শিদারও চেষ্টার কমতি ছিলোনা।কিন্তু কোন মতেই সে আমার জন্য শিখার মন গলাতে পারেনি।মাঝে মাঝে মুর্শিদার ফোন থেকে শিখার সাথে বেশ কয়েকবার কথা হয়।চার মিনিটের বেশি কখনোই শিখা কথা বলেনি।কিছু বলার আগে পড়তে হবে, ক্লাস আছে, প্রাইভেটের বাহানায় ফোন রেখে দেয়।
চুড়ান্ত-পরীক্ষা শেষে শিখা বাড়িতে এসেছে। বাড়ি এলেই মায়ের মোবাইল থেকে শিখা ফেসবুক ইউজ করে।চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ষোল ঘন্টা শিখাকে অনলাইনে পাওয়া যায়। মাঝে মধ্যে শিখাকে নক করি।সে রিপ্লে দেয়। বেশি নক করতে ইচ্ছে করেনা।যদি আবার ভাব নেয়! অবশ্য ভাব নেওয়াটা সুন্দরীদের মৌলিক অধিকার!
পাঠকের মতামত